নিজস্ব প্রতিবেদক : পাবনায়র ভাঙ্গুরায় গণধর্ষণের পর হত্যা মামলার পলাতক আসামী মাহফুজ (২২) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) র্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার কচুয়া এলাকা থেকে াতকে গ্রেফতার করা হয়। এ বছরের ৯ সেপ্টেম্বর পাবনা জেলার ভাঙ্গুরা থানার কৈডাঙ্গা এলাকার কিশোরী সানজিদা খাতুন (১৬) গনধর্ষনের শিকার হয়ে ১০ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। গ্রেফতার মাহফুজ পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার কৈডাঙ্গা মহল্লার মো. হাফিজুল ইসলামের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার শিকার ৃসানজিদা খাতুন ভাঙ্গুরা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী ছিলেন। কলেজে লেখাপড়া চলাকালীন নীরব নামে স্থানীয় বখাটে এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সানজিদার। একপর্যায়ে সানজিদারর সাথে প্রেমের আড়ালে কৌশলে তার আপত্তিকর ভিডিও মোবাইলে ধারন করে বখাটে নীরব। এরপর প্রতিনিয়ত ব্ল্যাকমেইল করে তাকে একাধিকবার ধর্ষন করে।
এভাবে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে পুনরায় ৯ সেপ্টেম্বর কলেজ থেকে সানজিদাকে কৈডাঙ্গা গ্রামে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায় বখাটে নীরব। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত থাকা নীরবের দুই বন্ধু মাহফুজ এবং রমজান পালাক্রমে ধর্ষন করে সানজিদাকে। এক পর্যায়ে সানজিদার কান্নাকাটি এবং চিৎকারের আওয়াজ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে প্রথমে নিজ বাড়িতে নেওয়া হয় সানজিদাকে। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। চিকিৎিসাধীন অবস্থায় ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টার দিকে মারা যান সানজিদা।
এ ঘটনায় নিহত সানজিদার বাবা শফিকুল ইসলাম (৫৫) বাদী হয়ে ভাঙ্গুরা থানায় ৪ জনকে আসামী করে একটি গণধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে গণধর্ষন ও হত্যার ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব-১২, সিপিসি-২ পাবনা র্যাবের সদস্যরা। এরই এক পর্যায়ে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার কচুয়া এলাকা থেকে মামলার ৩ নাম্বার আসামী মাহফুজ কে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভাঙ্গুরা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডার, স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান।
পরে গণধর্ষন ও হত্যার ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব-১২, সিপিসি-২ পাবনা র্যাবের সদস্যরা। এরই এক পর্যায়ে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতরাত সাড়ে ১২টার দিকে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার কচুয়া এলাকা থেকে মামলার ৩ নাম্বার আসামী মাহফুজ কে গ্রেফতার করে র্যাব।